Tuesday, August 16, 2016

ঘুরে আসুন সাজেক ভ্যালী | কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন বিস্তারিত গাইডলাইন

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আঁধার আমাদের মাতৃভূমি রূপসী বাংলা । রূপের অপার সৌন্দর্যের সাঁজে সেজে আছে বাংলা মা । আমরা সৌন্দর্যের খোঁজে ছুটে বেড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আমাদের দেশের সৌন্দর্য তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় । আমরা বিভিন্ন দেশের গ্রীন ভ্যালী দেখতে যাই কিন্তু ঢাকা থেকে মাত্র ৭/৮ ঘণ্টা গাড়ি পথে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালী টা আমরা কজনই বা দেখেছি । হাতে দুই দিন সময় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন এ সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য, যা আপনার সুন্দর একটি স্মৃতি হয়ে কল্পনায় গেঁথে থাকবে ।
সাজেক ভ্যালী


সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত । সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও যাতায়াতে সুবিধার কারণে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি জেলা দিয়েই সাজেকে আসা যাওয়া করে ।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেক  এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার । সাজেকে প্রবেশের আগেই পড়বে সাজেকের প্রথম গ্রাম রুইলুই পাড়া যার উচ্চতা ১৮০০ ফুট । এর প্রবীণ জনগোষ্ঠী লুসাই । এছাড়া পাংকুয়া ও ত্রিপুরারাও বাস করে । ১৮৮৫ সালে এই পাড়া প্রতিষ্ঠিত হয় । এর হেড ম্যান লাল থাংগা লুসাই । রুইলুই পাড়া থেকে অল্প সময়ে পৌঁছে যাবেন সাজেক ।

সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচুতে অবস্হিত বিজিবি ক্যাম্প । এখানে হেলিপ্যাড আছে । সাজেকের শেষ গ্রাম কংলক পাড়া । এটিও লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাড়া । এর হেড ম্যান চৌমিংথাই লুসাই । কংলক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায় । সাজেক বিজিবি ক্যাম্প এর পর আর কোন ক্যাম্প না থাকায় নিরাপত্তা জনিত কারনে কংলক পাড়ায় মাঝে মাঝে যাওয়ার অনুমতি দেয় না

কিভাবে যাবো সাজেক ?


খাগড়াছড়ি থেকে আপনি তিন মাধ্যমে সাজেক পৌছাতে পারবেন । চান্দের গাড়ী,সিএনজি এবং মটরসাইকেলে ।

সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো খাগড়াছড়ি শহর থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে ঘুরে আসা । ভাড়া নিবে ৪৫০০-৫৫০০ টাকা । এক গাড়িতে ১৫ জন বসতে পারবেন । লোকসংখ্যা বেশি হলে অবশ্যই চান্দের গাড়ী নিয়ে মজা করতে করতে যেতে পারবেন । এক্ষেত্রে কথা হলো ৪-৫ হাজার টাকা নিবে যদি আপনি দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসেন কিন্তু আপনি যদি রাতে থাকেন সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে দুইটা রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারি ,এক সাজেক গিয়ে গাড়ী ছেড়ে দিবেন কিন্তু ড্রাইভারের নাম্বারটা রেখে দিবেন বলবেন ফোন দিলে যেন চলে আসে । দ্বিতীয় রাস্তাটা হলো সাজেকে রাতে থেকে তারপর যখন চলে আসবেন সেদিন দেখবেন অনেক চান্দের গাড়ী যাত্রী নামিয়ে খালী চলে যাচ্ছে সেগুলোতে কম দামেই্ শহরে চলে আসতে পারবেন ।
সাজেক যাবার পথে ...

লোক কম হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি নিয়েও যেতে পারবেন । ভাড়া ৩০০০ টাকার মতো নিবে ।

এছাড়াও মটরসাইকেলে করে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা যেতে হবে তারপর সেখান থেকে মটরসাইকেলে সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন এক মটরসাইকেলে ড্রাইভার সহ তিনজন বসতে পারবেন ভাড়া আসা যাওয়া রিজার্ভ ১০০০-১২০০ টাকা (দামদর করে নিবেন কম বেশি হতে পারে) । । বাসে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা জন প্রতি ৪৫ টাকা নিবে । দীঘিনালা থেকে ১০০০-১২০০ টাকায় মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিয়েও সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন ।

ভাই থাকার ব্যাপারটা ?


অস্হির হবেন না বলে দিচ্ছি :) সাজেকে আপনি রাতে থাকতে পারবেন এবং আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি থাকুন একটা রাত অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হবে আপনার । 

সাজেকে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের রিসোর্ট আছে যাতে আপনি নিশ্চিত্রে নিরাপদে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পারবেন । 

রুইলুই পাড়া/ সাজেক রিসোর্ট : এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট। যা সাজেকে অবস্থিত। যার দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে। ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা। অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি। খাবারের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে। যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।

রুন্ময় : এটি সাজেকে অবস্থিত। এর নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন। এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।

 আলো রিসোর্ট : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এটিতে মোট ৬ টি রুম আছে। ডাবল রুম ৪ টি ( ২টি খাট করে) । যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা। সিংগেল রুম ২ টি । প্রতিটির ভাড়া ৭০০ টাকা । যোগাযোগ : পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬।

ইমানুয়েল রিসোর্ট : এটিতে ৮ টি রুম আছে। সব গুলো কমন বাথ। রুম প্রতি ভাড়া ১৫০০ টাকা ও ৭০০ টাকা। ১৫০০ টাকার রুমে দুইটি ডাবল বেড আছে। ৬ জন থাকতে পারবেন। ৭০০ টাকার রুমে ২ টি বেড আছে। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮( বিকাশ) এই রিসোর্টটা একদম সাধারণ একটা রিসোর্ট ,বন্ধু বান্ধব বা যাদের থাকা নিয়ে কোন অভিযোগ নেই তারা এখানে থাকতে পারেন মেয়ে বা পরিবারের জন্য এটা আদর্শ রিসোর্ট নয় ।

সারা রিসোর্ট: এটি রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত। এর মালিক রুইলুই পাড়ার কারবারী মনা দাদা। এখাণে ৪ টি রুম আছে। তিনটি এটাচ বাথ। একটি কমন বাথ। প্রতি রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা। ৪ টি নিলে ৩৬০০ টাকা। প্রতি রুমে একটি খাট আছে। ২ জন থাকা যাবে। রুম গুলো একটু ছোট। টিনের তৈরী। সোলার আছে। যোগাযোগ: ০১৫৫৪৫৩৪৫০৭।

রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ১৫ জনের মত থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবে। লক্ষন নামেও একজন আছে, প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যোগাযোগ : মইয়া লুসাই - ০১৮৩৮৪৯৭৬১২। লক্ষন - ০১৮৬০১০৩৪০২।

সাজেক রিসোর্ট ,রুন্ময় রিসোর্ট আর আলো রিসোর্ট আপনার পরিবার বলেন আর মেয়ে মানুষ বলেন সবার জন্যই পারফেক্ট ।  আর ইমানুয়েল রুইলুইপাড়া ক্লাব হাউজ এগুলো পরিবার বা মেয়েদের থাকতে অসুবিধা হতে পারে । এগুলো বন্ধু বান্ধব বা যাদের থাকা নিয়ে কোন অভিযোগ নেই যেখানে রাইত সেখানেই কাইত টাইপ তাদের জন্য পারফেক্ট ।

আর হ্যাঁ যাবার আগে অবশ্যই রিসোর্টগুলোতে রুম খালী আছে কিনা তা ফোন করে বুকিং দিয়ে তারপর যাবেন ।
একদম উপর থেকে সাজেক ভ্যালী ছবি কৃতজ্ঞতা আফজাল নাজিম

যাওয়া হলো থাকার ব্যবস্হাও হলো খাওয়ার ব্যবস্হাওতো দরকার তাইনা ? ওখানে রিসোর্টগুলোতে বললে আপনাকে পছন্দমত রান্না করে দিবে সেক্ষেত্রে প্রতিবেলা প্রতিজন ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে । আর যাবার দিন আগে আগে ফোন করে খাবারে কথা বলে রাখবেন তাহলে উনারা খাবারের ব্যবস্হা করে রাখবে :)

সাজেক এর অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখা ছাড়াও দেখে আসতে পারেন কমলক ঝর্না, সাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটি, বুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেন, ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটা, এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে। ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি। রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময়। গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেন, ঝর্নার কথা বললেই হবে, ৩০০-৩৫০ টাকা নিবে।

সাজেক থেকে ফেরার সময় হাজাছড়া ঝর্ণা , দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন । একদিনে এই সব গুলো দেখতে হলে যত তারাতারি সম্ভব বেড়িয়ে পড়বেন ।

খাগড়াছড়ি শহর থেকে আপনি ঘুরতে পারবেন রিসং ঝরনা এবং আলুটিলা গুহা । সিএনজি বা বাসেই চলে যেতে পারেন এই দুই স্পটে ।

খাগড়াছড়ি কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে শ্যামলী , হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । ভাড়া নিবে ৫২০ টাকা । শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা পর্যন্ত যায় । ভাড়া ৫৮০ টাকা । এছাড়া BRTC ও সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায় ।

 কোথায় থাকবেনঃ খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে খোজ নিলেই পেয়ে যাবেন ।  খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলও থাকতে পারেন , এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে । মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার । ভাড়াঃ এসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা । মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫

গিরি থেবার নামে আরও একটি হোটেল আছে , এটি খাগড়াছড়ি শহরের কাছে খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। এখানে সিভিল ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। সব রুমই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। যার মধ্যে ২ টি ভি আই পি রুম, প্রতিটির ভাড়া ৩০৫০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। একটি সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : কর্পোরেল রায়হান- ০১৮৫৯০২৫৬৯৪।
হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত । এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫ । এছাড়া আরও কিছু হোটেল হলো হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২ । হোটেল জেরিনঃ ০৩৭১-৬১০৭১ । হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০ । হোটেল শিল্পীঃ ০৩৭১-৬১৭৯৫ ।

খাগড়াছড়িতে খাবার খেতে পারেন সিস্টেম রেস্তোরায়, খাগড়াছড়ি শহরের  পানখাই পাড়ায় এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের রেস্তোরার অবস্থান । এখানে খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে পারবেন । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬৩৪ , ০১৫৫৬৭৭৩৪৯৩ , ০১৭৩২৯০৬৩২২ ।


এখন আসুন খাগড়াছড়ির ভিন্ন একরুপে যাই :) খাগড়াছড়িতে রিসং ঝরনা ,আলুটিলা ,হাজাছড়া ঝরনা আর সাজেক এগুলো ছাড়াও আপনি অসাধারণ কিছু ঝরণা দেখতে পারবেন সেগুলো হলো সিজুক ১,সিজুক ২,তৈদুছড়া ১,তৈদুছড়া ২ ।

চারটার মাঝে সিজুক ১,২ এই দুইটা ঝরনা একদিকে আর তৈদুছড়ার দুইটা আরেকদিকে । তবে অবশ্যই অবশ্যই সিজুকের ঝরনাগুলোই সবচয়ে সুন্দর ঝরনা ।
সিজুক ১ ঝরনা

সিজুক ২ ঝরনা 

সিজুক বা তৈদুছড়ার ঝরনাগুলো দেখতে আপনাকে প্রথমেই দিঘীনালা যেতে হবে সেখান থেকে গাইড নিয়ে তারপর ঝরনাগুলোতে যেতে হবে । চাঁন্দের গাড়ীর প্রয়োজন হতে পারে সেই গাড়ী আপনাকে সাজেক যাবার দিকের রাস্তার দিকে নিয়ে যাবে তারপর এক জায়গায় নামিয়ে দিবে সেখান থেকে আপানকে ট্রেকিং করে ঝরনাতে যেতে হবে ,প্রায় এক দেড় ঘন্টা লাগতে পারে সিজুক ১ ঝরনাতে পৌছাতে সেখান থেকে আধাঘন্টার মতো ট্রেক করলেই পেয়ে যাবেন সিজুক ২ ঝরনাটি । তারপর আবার গাড়ীর কাছে ফিরে এসে আপনাদের প্লানমতো হয়তো সাজেকে চলে যেতে পারেন অথবা দিঘীনালা বা খাগড়াছড়ি ফিরে যেতে পারেন ।।

তৈদুছড়াতে যেতে চাঁন্দের গাড়ীর প্রয়োজন নেই এটাতে কাছেই সর্বোচ্চ এক ঘন্টা হাটতে হবে দীঘিনালা থেকে ।


দীঘিনালাতে থাকার প্রয়োজন হতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি দীঘিনালা গেস্ট হাউজে থাকতে পারেন, এটি দীঘিনালা শহরের বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে অবস্থিত । এটি দীঘিনালার আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটু মানসম্মত । এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে রুম নিয়ে থাকা যাবে ।

গাইডের প্রয়োজনে আজম(গাইড , দীঘিনালা) - ০১৫৫৭৩৪৬৪৪২,০১৭৩৭৪৪২২৭২ ফোন দিতে পারেন । একদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা লাগতে পারে । দাম দর করে তারপর নিবেন ।

দীঘিনালার চাঁদের গাড়ির ড্রাইভার রাজ - ০১৮২০৭৪১৬৬২, ০১৮৪৯৮৭৮৬৪৯ । শিবু- ০১৮২০৭৪৬৭৪৪ ।